নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ এখন ব্যাপকভাবে দুর্নীতি চাষের উর্বর ভূমি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির এমন একটি পাহাড় সরচিত হয়েছে, সেই পাহাড়ের চূড়ায় এখন ক্ষমতাসীন অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর লোকেরা অবস্থান করছে। বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত তালিকায়ও এখন বাংলাদেশের নাম রয়েছে।
আজ নয়াপল্টনে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ডামি সরকারের জনগণের কাছে জবাবদিহি নেই, দায়বদ্ধতা নেই। কারণ তাদের জনগণের ভোটের কোনো প্রয়োজন হয় না। তারা ভোটকে পাত্তা দেয় না। যারা জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করে তাদের কাছে জনগণ কী আসা করবে।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণামতে বর্তমানে দুর্নীতির শীর্ষ দশের মধ্যে মাঝামাঝি অবস্থায় বাংলাদেশ অবস্থান করছে। এমনকি দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করে টাকার পাচার করে বিশ্বের উন্নত দেশের শীর্ষ ধনীদের মাঝেও নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছে ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনরা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত। দুর্নীতির মহাকাব্যের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান করছে। দুর্নীতি করে আর রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি হরিলুট করেই চলছে অবৈধ ক্ষমতাসীনরা। যারা দুর্নীতির মধ্যে ভাসছে তাদের কাছে মানবাধিকার প্রিয় হবে কেন? ভোট প্রিয় হবে কেন? মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তাদের কাছে প্রিয় হবে কেন? এগুলো ছাড়াই তো তারা ক্ষমতাসীন হয়ে অবাধে জনগণের টাকা লুটে নিতে পারছে। পৃথিবীর ধনী ধনী দেশে দুর্নীতির টাকা দিয়ে স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে পারছে।
রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে যখন দুর্নীতিকে আসকারা দেওয়া হয়. দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকতে সুযোগ দেওয়া হয় তখন তারা অবৈধ দুর্নীতির টাকা নিয়ে সমাজে আধিপত্য বিস্তারে তারা মত্ত হয়ে ওঠে। এখন দেখছেন ক্ষমতাসীনগোষ্ঠীর আধিপত্যের জেরে জনপথের পর জনপথ রক্তাক্ত হয়ে উঠছে। রক্তের হুলি খেলায় মেতে উঠেছে তারা। আজও মুন্সিগঞ্জে তাদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একজন খুন হয়েছে।
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সব জীর্ণতা ও গ্লানি মুছে নতুনভাবে দেশটাকে গড়ে তোলা, গণতন্ত্রকে ফেরানো আমাদের যে লক্ষ্য, সে আন্দোলনকে আরও বেশি তরান্বিত করবো, মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনবো, সেটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।’
ইসরায়েলি দুটি কার্গো বিমান বাংলাদেশের বিমানবন্দরে ওঠানামা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে যতটুকু শুনতে পাচ্ছি তাতে এ ঘটনা খুবই রহজ্যজনক এবং উদ্বেগজনক বলে মনে করছি।
Posted ০৮:৪২ | শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain